তিনি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দল–বিরোধী কেউ কোনও কাজ করলে রেয়াত করা হবে না। এবার সেই হুঁশিয়ারিতেই তিনি সিলমোহর দিলেন। একসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হল। হ্যাঁ, তিনি কোচবিহারের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। এই ১২ জন সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। সেটা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বলে অভিযোগ। তাই কোচবিহারের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হল। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন উদয়ন গুহ। তিনি জানান, দলের প্রতি আনুগত্য দেখালে ফের ফের দলে নেওয়া হবে।
ঠিক কী ঘটেছে কোচবিহারে? স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের মধ্যে ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেণুকা খাতুন বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। এদিকে দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। সেক্ষেত্রে এটা দল–বিরোধী কাজ এবং দলের নির্দেশ অমান্য করার সামিল। তাই এই ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অনাস্থা প্রত্যাহার করলেই দলে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উদয়ন।
অন্যদিকে যে সব গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের জন্য কড়া বার্তা দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখনও ওকড়াবাড়ির তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যরা নিজেদের অনাস্থার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের নিয়েই তলবি সভা ডেকেছে প্রশাসন। তার আগে এই অনাস্থা ঠেকাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা করেন উদয়ন।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা যদি তলবি সভায় না যান, তাহলে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হবে। কিন্তু যদি তাঁরা তলবি সভায় গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারিত করেন, তা হলে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’ এখন দেখার বিষয় হল, এই ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যরা কোন পথে হাঁটেন।