দুটি বাসের রেষারেষি জেরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে কলকাতাগামী একটি বাসকে ধাক্কা মারল অন্য একটি বাস। তার জেরে কমপক্ষে ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকের মাথা ফেটেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনের হাত ও পা ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি বুকে আঘাত পেয়েছেন অনেকে। এরমধ্যে দুজন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি চেকপোস্টের কাছে জাতীয় সড়কের উপরে। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ডোমজুড় থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: UP-তে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! দুধের গাড়িতে ধাক্কা মেরে উলটে গেল বাস, মৃত ১৮ শ্রমিক
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ। আমতা-শ্যামবাজার রুটের একটি বাস ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল। সেই সময় পিছন থেকে ওই বাসটিকে ওভারটক করতে যায় ধুলাগড়-শিয়ালদা রুটের একটি বাস। তখনই পিছনে থাকা ধুলাগড় - শিয়ালদা রুটের বাসটি সজোরে আমতা-শ্যামবাজার রুটের বাসে ধাক্কা মারে। সজোরে ধাক্কা লাগার ফলে বাসে থাকা যাত্রীরা ছিটকে পড়েন। অনেক যাত্রী বাসের মেঝেতে পড়ে যা। কারও বাসের সিটে অথবা রড ও জানলায় আঘাত লাগে। বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটেছে।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় ডোমজুড় থানার পুলিশ। তারা আহতদের উদ্ধার করে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিরা এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দুটি বাসকে আটক করার পাশাপাশি চালকদেরও আটক করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যাত্রী তোলা নিয়ে রেষারেষির জেরেই এদিনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মাসেই দুটি বাসের রেষারেষির জেরে মালদায় প্রাণ গিয়েছিল এক কৃষকের। মালদার আদিনা সংলগ্ন সুকান দিঘি এলাকায় নরেশ সরকার নামে গাজোলের হাতিমারি সংলগ্ন হাজরা বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। আলমপুর বাজারে আম বিক্রি করতে গিয়েছিলেন নরেশ সরকার। এরপর তিনি সাইকেলে চেপে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুটি বাস রেষারেষি করে মালদার দিকে যাচ্ছিল। তখনই একটি বাস তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় তিনি সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। তখন বাসটি তাঁকে পিষে দেয়। এছাড়াও কলকাতাতেও বিভিন্ন সময়ে বাসের রেষারেষির জেরে অনেকের প্রাণ গিয়েছে।