বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের ওপর হামলা, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত ১২

রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের ওপর হামলা, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত ১২

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দেগঙ্গা। প্রতীকী ছবি।

এই ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী আব্দুল হাকিম মোল্লার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চাঁদপুর এলাকায় একটি দোকানে গত সাতদিন ধরে রেশন দেওয়া হচ্ছিল। আজও সেখানে রেশন দেওয়া হচ্ছিল।

রেশন নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ালো। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। দু'পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বেড়াচাঁপা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাঁদপুর এলাকার। খবর পেয়ে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বেশ কয়েকজন এখনও হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এই ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী আব্দুল হাকিম মোল্লার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চাঁদপুর এলাকায় একটি দোকানে গত সাতদিন ধরে রেশন দেওয়া হচ্ছিল। আজও সেখানে রেশন দেওয়া হচ্ছিল। গ্রাম সভার সদস্য শামসুজ্জামানের লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে রেশনের সামগ্রী নিচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই শামসুজ্জামানের দলবল ইট, লাঠি, রড দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। আব্দুল হাকিম মোল্লার দলবলের অতর্কিত হামলায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকরা আহত হয়েছেন। এমনকি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনকম তাদের উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ শামসুজ্জামান গোষ্ঠী এবং আব্দুল হাকিম মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এদিন তাদের ঝামেলা চরম আকার ধারণ করে। দু'পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দিন কার্যত রেশন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। তারপরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বন্ধ করুন