১০০ দিনের কাজের নাম করে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাদপুরের করণদিঘির দোমোহনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ যে সত্যি তা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী।
জানা গিয়েছে, দোমোহনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অধিনস্থ ভুলকি পঞ্চায়েত এলাকায় ১৩টি পুকুর কাটার জন্য ৩২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যে ১৩টি পুকুর কাটার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি পুকুরও খোড়া হয়নি। কোনও পুকুরই খোড়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা মইনুল হক নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, এই ১৩টি পুকুরের মধ্যে ১১টি পুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা সাকেরা বিবির পরিবারের নামে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১১ দিনের কাজের প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, একটি প্রকল্প শুধু মাত্র একজন ব্যক্তি বা একজন পরিবারের নামেই হওয়ার কথা। তাহলে কী করে একজনের নামে এতগুলি পুকুর খোড়ার কাজ হল। এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত সদস্যা সাকেরা বিবির নিজে পঞ্চায়েত কাজ ঠিকভাবে জানেন না। সাকেরার হয়ে তাঁর স্বামী আনেশ আলি সবকিছু দেখাশোনা করেন। আনেশের বিরুদ্ধেই এই সব পুকুর চুরির অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় তদন্তকারী দল এসে ঘুরে যায়। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আনেশ স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর পরিবারের নামে ১৩টি পুকুরের মধ্যে ১১টি পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে ২টি পুকুর আনেশের নামে রয়েছে, যেগুলিকে দেখিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে কোন কোন পুকুর বা তার প্লট নম্বর চাওয়া হলে তা দিতে পারেননি আনেশ। ফলে দুর্নীতি যে হয়েছেই এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।