গত দুই বছরে ভারত থেকে চিনে পাচার করেছেন ১৩০০ সিম কার্ড। জেরার মুখে স্বীকার করলেন কালিয়াচকে ধৃত চিনা নাগরিক। এদিকে চিনা সেই নাগরিককে জেরা করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে মালদায় পৌঁছেছে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-এর চার সদস্যের দল। মামলাটি উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-এর হাতেই তুলে দেওয়া হবে বিএসএফ তরফে। এদিকে জেরায় বিএসএফ আধিকারিককে ধৃত ব্যক্তি জানান যে তিনি গুরুগ্রামের এক হোটেলের মালিক। এর আগে বহুবার বৈধ নথিপত্র ছাড়া এসেই দিল্লি, হায়দরাবাদ সহ বহু জায়গায় গিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এই গোটা বিষয়টিতে জড়িত রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং এক বন্ধু। এই বন্ধুকেই কয়েকদিন আগে আটক করেছিল উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ।
বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩৬ বছর বয়সী হান জুনেইকে। কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জওয়ানরা ওই চিনা নাগরিককে আটক করেন। পরে তাঁকে ইংরেজবাজারের মহদিপুরের বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার কালিয়াচক-১ ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রামের কিছুটা অংশে এখনও অরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে। বৃহস্পিতবার সকাল ছ’টা নাগাদ সেই অরক্ষিত এলাকা দিয়েই এদেশে ঢুকে পড়েন ওই চিনা নাগরিক। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ওই ব্যক্তি ভারতে প্রবেশ করে বলে জানা গিয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে ওই অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেন জওয়ানরা। তাঁর কাছে থাকা চিনা পাসপোর্টটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেটি থেকে জানা যায়, হানের জন্ম চিনের হুবেই প্রদেশে। সে সেখানকারই বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন, প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি ও ভারতীয় মুদ্রা, কিছু ইউএস ডলার, কিছু বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং বাংলাদেশের ভিসা বাজেয়াপ্ত করা হয়।