দলবদল করিয়ে আনতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাই তাঁকে 'ম্যানেজ মাস্টার' থেকে চাণক্য অনেক কিছুই বলা হয়। এবারও তেমন পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই যোগদান পর্ব ভেস্তে যাওয়ায় মঞ্চ থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়।
এই ঘটনার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘ওদের কথায় বিশ্বাস করে আমি এখানে এসেছিলাম। কেউ বিশ্বাসের অমর্যাদা করলে আমি ভালোভাবে নিই না। যোগদান হচ্ছে না জানতে পারলে আমি এই সভায় আসতাম না।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এটা আইজ্যাক নিউটনের তৃতীয় সূত্র।তার জন্যই এই খেসারত দিতে হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় চার্জশিটে অভিযুক্ত হওয়ার পরে এই প্রথম নদিয়ায় এলেন মুকুল। আগামী ১৫ জানুয়ারি রানাঘাট আদালতে তাঁকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চললে পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা স্বাভাবিক হত। কিন্তু তা হল না।
ঠিক কী ঘটেছে? মঙ্গলবার চাকদহের শিমুরালি মনসাপোতার মাঠে বিজেপি’র নদিয়া দক্ষিণ জেলা তফসিলি মোর্চার সভায় অনেকে তৃণমূল থেকে যোগদান করবেন বলে জানানো হয়েছিল। যদিও কেউই আসেননি। তফসিলি মোর্চার জেলা সভাপতি তারক সরকারের দাবি, ‘পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য–সহ বিভিন্ন স্তরের ১,৪০০ তৃণমূল কর্মীর আমাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমুল থেকে আমাদের দলে আসা স্থানীয় বিজেপি নেতারা এই ব্যাপারে আপত্তি জানানোয় এদিনের মতো যোগদান পর্ব বাতিল করা হয়েছে।’
তাই মুকুল ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দাবি করেন, ‘আমি রাজনীতিটা খুব খারাপ বুঝি না। গত লোকসভার নির্বাচনের সময়ে বলেছিলাম, আমরা ২০–২২ টি আসন পাব। ১৮ টি পেয়েছি। আমি বলে যাচ্ছি, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ১০০ আসন পাবে না। যতই ওরা সংখ্যালঘু–সংখ্যাগুরুর হিসাব করুক।’
উল্লেখ্য, মুকুল থাকলেও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে এদিন সভায় দেখা যায়নি। জগন্নাথকে কার্যত বাদ দিয়ে সভা করা হয়েছে বলেই ক্ষোভ বলে ঘনিষ্ঠ-মহল সূত্রে খবর। কোনও ব্যানারে তাঁর নাম ছিল না।