ছানির অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারালেন রোগী। একজন নয় এরকম ১৫ জন রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাবেন। এমন অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের একাংশ । এই ১৫ জনের মধ্যে আবার ৩ জনের চোখের অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাদের দুটি চোখই তুলে না নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। রোগীরা বর্তমানে ভিজুয়াল ইনস্টিটিউট অব থার্মোলজিতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: পায়ুদ্বার দিয়ে যুবকের পেটের ভিতরে ডিওডোরেন্টের বোতল! বের করলেন চিকিৎসকররা
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীদের কারও বয়স ৪০ আবার কারও বয়স ৪২ বছর। সকলে চোখের ছানির সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। তারা আশা করেছিলেন হয়তো তারা সম্পূর্ণভাবে দেখতে পারবেন। কিন্তু, হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই ঘটল বিপত্তি। মেডিক্যাল কলেজেরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে চোখে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এত বড় গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরে এখনও পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচার হওয়া ১৫ জন রোগীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভিজুয়াল ইনস্টিটিউট অব থার্মোলজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা চোখ বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর দায় স্বাস্থ্য প্রশাসকদের নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, যন্ত্রপাতি যদি স্টেরিলাইজ না করা হয় তাহলে সমস্যা হয়। বিজেপিও এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, চোখের অপারেশন করতে গেলে আগে জীবাণু মুক্ত করতে হয়। কিন্তু তা করা হয়নি।