বাসের মধ্যে নির্লিপ্ত ভাবে বসে ছিলেন এক যুবক। ভোর হলেও সূর্যের আলো তখনও ফোটেনি।অন্ধকারের মধ্য শিলিগুড়ির রাস্তা দিয়ে ছুটছিল দূরপাল্লার ওই বাসটি। আচমকাই শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকায় বাসটি থামিয়ে দেওয়া হয়। বাস থামতেই তার মধ্যে কয়েকজন হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়েন। আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বাস ভরতি যাত্রীরা একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে শুরু করেন। কোনও ছিনতাই অথবা ডাকাতি পড়ার ঘটনা নয় তো ? এই ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাস যাত্রীরা। তবে না কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায় সবার কাছে। কয়েকজন ব্যক্তি সোজা চলে যান নির্দিষ্ট আসনে বসে থাকা ওই যুবকের কাছে। তাকে আসন থেকে টেনে নামানো হয় বাসের নীচে। তার কাছে থাকা ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে পড়ে ১৫টি কচ্ছপ। কচ্ছপ পাচার চক্রের ওই চাঁইকে আটক করেন বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের শারুগারা রেঞ্জের বন আধিকারিকরা। বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
এপ্রসঙ্গে বন দফতরের এডিএফও জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘মূলত বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই কচ্ছপগুলো আনা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বাবন সরকার। তার কাছ থেকে ১৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে বন দফতরের আধিকারিকরা এদিন খবর পান যে, বিহার থেকে গঙ্গারামপুর হয়ে শিলিগুড়ি দিয়ে কয়েকটি কচ্ছপ বাসের মধ্যে পাচার করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে একটি টিম তৈরি করে মাটিগাড়া পৌঁছে যান বন দফতরের আধিকারিকরা। তারপর রাস্তার ধারে ওই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তারা। ভোরের দিকে বাসটি এলেই সেটা থামিয়ে বাবনকে বাস থেকে নামানো হয়। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে ১৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।