তেহট্টে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আশায় কোয়ারেনটাইনে পাঠানো ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৭। এর আগে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, মোট ৪৯ জনকে ওই পরিবারটির কাছাকাছি এসেছেন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সোমবার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে আরও ১৮ জনকে ঘেরাটোপে পাঠানো হয়।
গত ২০ মার্চ দিল্লি থেকে তেহট্টের বর্নিয়ার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে ফেরে পরিবারটির ৮ সদস্য। দিল্লিতে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে এক বিদেশফেরত আত্মীয়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরা। সেই আত্মীয়ের করোনা ধরা পড়ে। তিনি দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওদিকে ফেরার পর দিন থেকেই কাশি শুরু হয়। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর পরই পরিবারটিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে পরিবারটির ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন দিল্লি গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পরই হুলুস্থুল পড়ে প্রশাসনে। একই পরিবারের ৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। এর পরই কারা ওই পরিবারটির সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁর খোঁজ শুরু হয়।
প্রশাসনের কর্তারা জানতে পারেন ১৯ মার্চ দিল্লিতে শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠে পরিবারটি। পরদিন সকাল ১০টায় শিয়ালদা পৌঁছয় ট্রেনটি। এর পর ১০.২৮ মিনিটের লালগোলা প্যাসেঞ্জার ধরে বেথুয়াডহরি স্টেশনে পৌঁছন তাঁরা। সেখান অটোয় করে পৌঁছন তেহট্টের বর্নিয়া।
এদিন সেই অটোচালককে চিহ্নিত করে পরিবারসহ কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। সপরিবারে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে ওই পরিবারের ২ মাছ বিক্রেতাকে। সঙ্গে আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নদিয়ার ডেপুটি CMOH অসিতকুমার দেওয়ান।