যথাযোগ্য উপাচারের মাধ্যমে বেলুরমঠে পালিত হল রামকৃষ্ণ পরমহংসের ১৮৭তম জন্মতিথি। শুক্রবার ভোর চারটেয় মঙ্গলআরতির মাধ্যমে সূচনা হয় উৎসবের।এরপর বেদপাঠ, স্তব গানে অংশগ্রহণ করেন সন্ন্যাসীরা। প্রথা মেনে হয়েছে রামকৃষ্ণের বিশেষ পূজা ও হোম।
করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফের ভক্তদের জন্য অবারিত হয়েছে বেলুড় মঠের দ্বার। তার পরই রামকৃষ্ণের জন্মতিথি পালনের সূচি ঘোষণা করে মঠ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সেই সূচি মেনে চলছে যাবতীয় উপাচার ও অনুষ্ঠান।
এদিন সকালে ঠাকুরের বিশেষ পূজার পর গীতি আলেখ্য উপস্থাপন করেন সন্ন্যাসীরা। এর পর নাটমন্দিরে কথামৃত পাঠ ও তার ব্যাখ্যা শোনান প্রবীণ সন্ন্যাসীরা।
শুক্রবার বিকাল ৩:৩০ মিনিট থেকে প্রেসিডেন্ট মহারাজের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে ধর্মসভায় অংশগ্রহণ করবেন সন্ন্যাসী ও ভক্তরা। ধর্মসভায় রামকৃষ্ণের জীবনী ও বাণী পাঠ করবেন স্বামী বলভদ্রানন্দ (বাংলায়), স্বামী শুদ্ধিদানন্দ (ইংরেজিতে), স্বামী নির্বিকারানন্দ (হিন্দিতে)। ধর্মসভা সমাপ্তির পর রামকৃষ্ণ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যারতি।
রামকৃষ্ণের জন্মতিথি উজ্জাপনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি বেলুড় মঠের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে। তবে আজকের দিনে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মঠের ভিতরে প্রবেশাধিকার থাকছে। দীর্ঘদিন পর রামকৃষ্ণের জন্মতিথি উজ্জাপনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে উদ্বেলিত ভক্তরাও। প্রেসিডেন্ট মহারাজকে প্রনাম করার সুযোগও পাবেন তাঁরা। তবে এদিন ভোগপ্রসাদের ব্যবস্থা হয়নি। ভক্তদের দেওয়া হবে শুকনো প্রসাদ।