সারপ্রাইজ দেব বলে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে গিয়ে চোখ বেঁধে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকার বিরুদ্ধে। হাওড়ার ডোমজুড় থানার পার্বতীপুরের এই ঘটনায় ১৯ বছরের সোমাইয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত প্রেমিক আবদুর রহমান (২১)কে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন - '৪ দিনে কলকাতা দখলের' জবাব- 'বাংলাদেশ সেনার জন্য সিভিক ভলান্টিয়াররাই যথেষ্ট'
পড়তে থাকুন - তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম? তদন্ত কমিটির ভূমিকায় ধোঁয়াশা
জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দুয়েক ধরে আবদুর রহমানের সঙ্গে সোমাইয়ার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি সম্পর্কে শীতলতা এসেছিল। সোমাইয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না আবদুর রহমান। এর জেরে শনিবার সন্ধ্যায় ফোন করে আবদুর রহমানকে স্থানীয় একটি জঙ্গলে ডেকে পাঠায় সোমাইয়া। জানায়, তাকে সারপ্রাইজ দেবে সে।
প্রেমিকার ফোন পেয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যান আবদুর রহমান। তখন ফের সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে আবদুর রহমানের হাত গাছের সঙ্গে বাঁধে প্রেমিকা। এর পর যুবকের চোখও বেঁধে দেয় সে। প্রেমিকার মতলব কিছুই অনুমান করতে পারেননি যুবক। হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে ব্লেড দিয়ে আবদুর রহমানের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে সোমাইয়া। এর পর বাঁধন খুলে দেয় সে। গ্রামে এসে স্থানীয়দের অসুস্থতার কথা জানায় আবদুর রহমান। স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের তিনি ঘটনার কথা জানান। এর পর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত প্রেমিকা সোমাইয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন - শপিং মলের ভিতরে কালো কাচে ঘেরা দোকান, তার মধ্যেই চলছিল সেই সব কাণ্ড, ধরল পুলিশ
এই ঘটনায় এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও এলাকায় ঘটেনি। তরুণী যা করেছেন ক্ষমার অযোগ্য। ওদিকে তরুণীর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে সোমাইয়াকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন আবদুর রহমান।