রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষার মেধাতালিকায় দাপট বাড়ল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। গত বছরে (২০২৩ সাল) রাজ্য জয়েন্টের প্রথম দশে ছিলেন তিনজন পড়ুয়া। ২০২২ সালে ছিলেন দু'জন। বরং মেধাতালিকায় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের (সিবিএসই) দাপট দেখা যেত। প্রথম স্থানটাও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়াদের দখলে আসত না। সেখান থেকে এবার পুরো ছবিটা পালটে গিয়েছে। ২০২৪ সালের রাজ্য জয়েন্টের মেধাতালিকায় চারজন হলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়া। শুধু তাই নয়, প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানও আছে সংসদের দখলে।
রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষার মেধাতালিকা
১) কিংশুক পাত্র, বাঁকুড়া জিলা স্কুল (বাঁকুড়া), উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
২) শুভদীপ পাল, কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাইস্কুল (নদিয়া), উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
৩) বিবশ্বন বিশ্বাস, বিশাল মোরো স্কুল (নদিয়া), কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট এগজামিনেশনের (CISCE)
৪) ইরাদ্রি বসু খণ্ড, দার্জিলিং পাবলিক স্কুল (দার্জিলিঙের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
৫) ময়ূখ চক্রবর্তী, সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুল (কলকাতা), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
৬) ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায়, টিসু বিদ্যাপীঠ (হুগলির ত্রিবেণী), কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট এগজামিনেশন (CISCE)।
৭) অভীক দাস, ম্যাক উইলিয়াম হাইস্কুল (আলিপুরদুয়ার), উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
৮) অথর্ব সিংহানিয়া, দিল্লি পাবলিক স্কুল (রুবি পার্ক, কলকাতা), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
৯) শৌনক কর, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট হাইস্কুল, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
১০) বিজিত মইশ, বিডিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
সার্বিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়াদের পারফরম্যান্স
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, এবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মোট ৬১,৮১৯ জন প্রার্থী জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬১,৫৭৫ জন। অর্থাৎ পাশের হার ৯৯.৬ শতাংশ। ওই ৬১,৫৭৫ জন পড়ুয়া জয়েন্টের ‘র্যাঙ্ক কার্ড’ পাবেন।
আরও পড়ুন: UPSC Preparation: ঘরে বসেই শুরু করুন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি, রইল সিক্রেট টিপস ও সিলেবাস
সংসদের পড়ুয়াদের রেজাল্ট ভালো হল কীভাবে?
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, ‘ভালোর কোনও ব্যাখ্যা নেই। ভালো হতেই পারে। ভালো করে পড়াশোনা করেছে ওরা। আমরা যতটা জানি, দিল্লি বোর্ড এবং অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সবসময় সিলেবাস সংশোধন করছে। এটা বার্তা দিচ্ছে যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বোর্ডে পড়াশোন ভালো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: UPSC Topper Inspiring Story: মায়ের জন্য টপার হতে চেয়েছিলেন, আজ UPSC সেকেন্ড হয়েও জননী পাশে নেই