দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে পিয়ালি নদীর ধারে জোড়া মহিলার দেহ উদ্ধারের তদন্তে নেমে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মুসলিমা বিবি ও এসরাফিল মোল্লা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিজানুর মণ্ডল।
গতকাল পিয়ালি নদীর পাড় থেকে কিছু দূরে উদ্ধার হয়েছিল মুস্তারি বিবি ও আবিদা খাতুন নামে ২ মহিলার দেহ। নিহতরা সম্পর্কে তুতো বোন। বাড়ি মথুরাপুরে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুস্তারিকে কেউ ওই জায়গায় ডেকে পাঠিয়েছিল। সঙ্গে যায় তাঁর ছায়াসঙ্গী আবিদাও।
সঙ্গে পুলিশ এও জানতে পারে, মুস্তারির বিয়ে হয়েছিল ক্যানিংয়ের উত্তর বুধোখালির মিজানুরের সঙ্গে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে তার। এর পরই মিজানুরের খোঁজে ক্যানিং যায় পুলিশ। সেখানে মিজানুরকে পায়নি পুলিশ। তার বাবা-মা-কে জেরা করে আসল ঘটনা জানতে বেশি বেগ পেতে হয়নি দক্ষ পুলিশকর্মীদের।
মিজানুরের মা মুসলিমা বিবি জানান, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য খোরপোশ হিসাবে প্রচুর টাকা দাবি করছিল মুস্তারি। সেই টাকা দিতে গেলে সম্পত্তি বিক্রি করতে হত। তাই ছেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুস্তারিকে খুন করেছেন তাঁরাই। ঘটনা দেখে ফেলায় সরিয়ে ফেলা হয়েছে আবিদাকেও। এর পরই এসরাফিল ও মুসলিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, বুধবার মুস্তারিকে ফোন করে ডাকে মিজানুর। মুস্তারি এসে পৌঁছলে তাকে পিয়ালি নদীর ধারে নিয়ে যায়। সেখানে ছিল আবিদাও। প্রথমে মুস্তারিকে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা হয়। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে। একই ভাবে খুন করা হয় আবিদাকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার কিনারা হয়েছে। মিজানুরকে খুঁজে বার করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।