ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত বিজেপি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, তৃণমূলের ধাঁচেই নব্য বনাম আদি নেতাদের কোঁদল চরমে। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির। দলবিরেধী কাজের জন্য বীরভূমে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয় ২ প্রভাবশালী নেতাকে। দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল ও প্রাক্তন সম্পাদক পলাশ মিত্রকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
মঙ্গলবার দুই নেতার বহিষ্কারের খবর ঘোষণা করে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘কালোসোনা মণ্ডল ও পলাশ মিত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আসছিল। সেই অভিযোগগুলি রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ২ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।’
তিনি জানিয়েছেন, কালোসোনাকে ৩ বছরের জন্য ও পলাশ মিত্রকে ৪ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা আর দলের কোনও কর্মসূচিতে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা শ্যামাপদবাবুকে তৃণমূলের দালাল বলে কটাক্ষ করেছেন কালোসোনা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘শ্যামাপদ মণ্ডল তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ তাঁর দাবি, বালিঘাট নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শ্যামাপদবাবুর বিরুদ্ধে।
বলে রাখি, রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দে জেরবার বিজেপি। দল যত বড় হচ্ছে ততই বাড়ছে অন্তর্দলীয় কোন্দল। উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় বিজেপির নব্য ও আদি নেতাদের সংঘাত চলছে। হাজার চেষ্টা করেও তা রুখতে পারছেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্ষমতার গন্ধ পেলেই সেই দলে জড়ো হতে থাকে কিছু লোভী মানুষ। তার জেরে শুরু হয় গোষ্ঠীকোন্দল। রাজ্যে বিজেপির পালে হাওয়া লাগতেই তাদেরও সেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নেতৃত্ব কী ভাবে এই সমস্যার সামাল দেয় তার ওপর নির্ভর করবে আগামীতে দলের ভবিষ্যৎ।