কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে উত্তাল হয়েছে দীঘার সমুদ্র। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দীঘার সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল ২ পর্যটক। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেন আরও ২ জন। সারা রাজ্যে এখন কড়া বিধি নিষেধ জারি আছে। প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সমুদ্রে স্নান করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল ওই ৪ জনকে।যেখানে পুলিশ প্রহরা রয়েছে, সেই নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে স্নান করতে গেলেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দীঘার সমুদ্রে স্নান করতে যান হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুর এলাকার ৪ জন। তখন নুলিয়ারা তাঁদের দেখতে পেয়ে সমুদ্রে নামতে বাধা দেন। প্রথমে বাধা পেয়ে সরে এলেও সমুদ্রের বিপজ্জনক চাতালে স্নান করতে নেমে পড়েন তাঁরা। মুহূর্তের মধ্যে কিছু বুঝে ওঠার গায়েই সমুদ্রের জলে তলিয়ে যান তাঁরা। দূর থেকে নুলিয়ারা দেখতে পেয়ে উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন। উদ্ধার করে তাঁদের স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতেরা হলেন নূর মহম্মদ মিদ্যা (৪৯)ও মইদুল নস্কর (৩৮)।জানা গিয়েছে, দুজন কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
প্রাণ ফিরে পাওয়া দুজনের মধ্যে একজন মুজিম মল্লিক জানান,‘মঙ্গলবারই আমরা হাওড়া থেকে দীঘা এসেছিলাম। ব্যক্তিগত কাজে আমরা দীঘা এসেছিলাম। দীঘায় পরিচিত হোটেল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা সেখানেই ছিলাম। হোটেলে খাওয়া দাওয়ার পর আমরা সমুদ্রে স্নান করতে যাই। তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’
যে সমস্ত নুলিয়ারা তাঁদের উদ্ধার করেছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, ওই পর্যটকরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পুলিশের এর আধিকারিক জানিয়েছেন, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হোটেলের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হোটেল মালিক পরিচিত হওয়ার জন্য কিছুটা সময় কাটাতে তাঁরা এসেছিলেন। খাওয়া দাওয়া করে তাঁরা বেরিয়ে যান।