ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলি গোষ্ঠীদ্বন্দে দলেরই ৩ কর্মীর খুনের ঘটনায় ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল পুলিশ। ধৃতরা ২ জনেই মহিলা। এছাড়া মূল অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সহ ৬ জনের নামে FIR রুজু করেছে পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ক্যানিং থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ে ৩ তৃণমূলকর্মী খুনে নাম উঠে আসছে স্থানীয় দুষ্কৃতী তথা তৃণমূল কর্মী রফিকুল সর্দারের। তবে ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রফিকুল। শুধু তাই নয়, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রাম প্রায় জনশূন্য।
বৃহস্পতিবার সকালে ধর্মতলা এলাকার বাসিন্দা স্বপন মাঝি, ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু হালদার একই মোটরসাইলেকে করে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই তাদের ওপর রফিকুলসহ ৪ দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে গুলি চালানো হয় স্বপন মাঝিকে লক্ষ্য করে। তাঁর দেহে ২টি গুলি লাগে। মোটরসাইকেলসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্বপনবাবু। এর পর প্রাণ বাঁচাতে পাশে সবজির ক্ষেত ধরে পালানোর চেষ্টা করেন ভূতনাথ ও ঝন্টু। তখন ভূতনাথকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ীরা। ভূতনাথের দেহে ১টি গুলি লাগে। পুলিশের অনুমান আততায়ীদের কাছে ২টি গুলিই ছিল। তাই ঝন্টুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে আততায়ীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ধরে ফেলে তাকে। অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গলার নলি কেটে ঝন্টুকে খুন করে তারা। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে স্বপন মাঝির দেহ লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে তারা।
ওদিকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন, তাঁর যে প্রাণ সংশয় রয়েছে সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন স্বপনবাবু। এমনকী পুলিশকেও সেকথা জানানো হয়েছিল। তার পরও রোখা গেল না চরম পরিণতি। রফিকুলের মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের গোটা পরিবার তৃণমূল সমর্থক। ফলে তৃণমূলের ঘরোয়া বিবাদের জেরেই যে ৩টি প্রাণ অকালে গেল তা একপ্রকার স্পষ্ট।