সাংসদ তহবিলের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য টাকা খরচ না হওয়ায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। এরা দুজনে খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ হলেও এদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক এখন ভালো নয়। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তাঁদের অভিযোগ, প্রকল্পের জন্য টাকা জমা দেওয়া হলেও জেলাশাসকের দফতরের তরফে সেই টাকা খরচ করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী জানান, ‘রাস্তাঘাট-সহ এলাকার উন্নয়নে ২ কোটি টাকার স্কিম পাঠিয়েছিলাম। চলতি বছরে আরও ৫ কোটি টাকা পাঠাবো। কিন্তু আগের প্রকল্পের টাকাই এখনও খরচ হয়নি।’ একই অভিযোগ করেছেন অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি তমলুকের সাংসদ। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘মার্চের আগে ২ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও জেলাশাসকের দফতর এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। ফের জেলা শাসকের কাছে প্রস্তাব বানিয়ে পাঠানোর ব্যাপারে ঠিক করেছি।’
এ প্রসঙ্গে অবশ্য জেলা শাসকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ওনারা যে সব সংস্থার মাধ্যমে তাঁদের স্কিমের কাজ করতে চেয়েছিলেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট করে কোন কোন স্কিমের কাজ হচ্ছে না, সেই বিষয়ে জানাতে হবে। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য কয়েক মাস সাংসদ তহবিলের মাধ্যমে আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ ছিল। তবে গত বছর নভেম্বর থেকে সাংসদ তহবিলের মাধ্যমে ফের আর্থিক বরাদ্দের কাজ শুরু হয়। অধিকারী পরিবারের দুই সদস্যের সাংসদ তহবিল থেকে বরাদ্দ টাকা উন্নয়নমূলক প্রকল্পে খরচ না হওয়ায় প্রতিহিংসার রাজনীতিই দেখছে জেলা বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত জানান, ‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ওর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ পাল্টা কাঁথি তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি জানান, ‘সাংসদ তহবিলের টাকা ঠিকমতো খরচ না হওয়ার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’