কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পর করোনা ধরা পড়ল ২ ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকের। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটার হিলা চা-বাগানে। ইতিমধ্যে চা-বাগানটিকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তবে এই ঘটনায় প্রশাসনের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে হিলা চা-বাগানের ২ বাসিন্দা মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌর থেকে বাড়ি ফেরেন। তবে সরাসরি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নাগরাকাটার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সোমবার দুপুরে তাঁদের সেখান থেকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। বাড়ি পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে চা-বাগানে হাজির হন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ২ জনকে তুলে নিয়ে যান জলপাইগুড়ির করোনা হাসপাতালে।
ওদিকে ততক্ষণে চা-বাগানে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছেন ২ জন। তেমন ১৫ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে প্রশাসন। সঙ্গে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে চা-বাগানটিকে।
ঘটনায় করোনা মোবাকিলায় জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য দফতর কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ২ শ্রমিককে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চা-বাগানের বাসিন্দারা।
বলে রাখি, এবারই প্রথম নয়, এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও। উত্তর দিনাজপুরে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তিকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পর ফের তাকে তুলে নিয়ে যায় প্রশাসন। প্রশ্ন হল, করোনার মতো ছোঁয়াচে রোগের ক্ষেত্রে কেন ছুটি দিতে এত তাড়াহুড়ো প্রশাসনের কর্তাদের?