মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ইট ভাটার পাশে খেলতে যাওয়ায় কাল হল। ইট তৈরির জন্য মাটি স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। সেই মাটিতে আচমকা ধস নেমে চাপা পড়ে মৃত্যু হল দুই নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার বোলপুর থানার অন্তর্গত সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ডিহা গ্রামে। মৃত দুই নাবালকের নাম হল রকি মুর্মু (৭) ও কাঞ্চন সোরেন (৮)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তারা দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে কার্যত লাঠি হাতে তুলে নিয়ে বিক্ষোভ সেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: রাস্তার ধারে উদ্ধার দুই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে আলোড়ন
জানা গিয়েছে, সুবিচারের দাবিতে দুই নাবালকের মৃতদেহ বোলপুর সিঙি রাস্তার উপরে রেখে দেন গ্রামবাসীরা। সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। স্থানীয়রা কার্যত লাঠি সোটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সোমবার ঘড়ির কাটায় ঠিক যখন রাত্রি ১০টা তখন বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে বোলপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। তারা মৃতদেহ তুলতে যায়। এরপরই এলাকাবাসীরা লাঠি সোটা নিয়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়।
পুলিশ কার্যত হাতজোড় করে মৃতদেহ দুটি তোলার জন্য অনুরোধ করে। এরপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। পড়ে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। মৃতদেহ দুটি পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীদের দাবি, ওই ইট ভাটার মালিক সামনে আসুক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন জানান, দুই নাবালক এদিন বিকালে খেলতে গিয়েছিল। তখন দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, যে জেসিবি দিয়ে নিচের মাটি কাটা হয়েছিল। তার ফলে মাটি আলগা হয়ে যায়। খেলতে গিয়ে কোনও ভাবে সেই মাটিতে ধস নামে। আর তারপরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা জানিয়েছেন, ইটভাটার মালিকের নাম সুশীল রায়। স্থানীয়দের দাবি, ভাটার মালিক ফোনে জানান যে তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন। কিন্তু, তারপরেও আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পুলিশ অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু, স্থানীয়রা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে তাদের পরিবার কিছুই পাবে না। সেখানেই যেতে হবে ভাটার মালিককে। পরে পুলিশের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে গ্রামবাসীরা অবরোধ তুলে নেন।