পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে সরকারি চাকরি পাওয়ায় বধূর হাত কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানা এলাকার তালগ্রাম থেকে ওই ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। এই নিয়ে ওই ঘটনার ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫।
গত শনিবার রাতে কেতুগ্রামে নার্সিংয়ের চাকরির জন্য নির্বাচিত বধূ রেণু খাতুনের ডান হাত কবজি থেকে কেটে নেন তাঁর স্বামী শের মহম্মদ। ঘটনার জেরে গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ঘটনার পরদিনই রেণুর শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার জেলা ছেড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার হয় শের মহম্মদ। এর পর তাঁকে জেরা করে জানা যায়, ২ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর হাত কেটেছিল সে।
শের মহম্মদের ২ সহযোগীর সন্ধানে নামে পুলিশ। এর পরই ভরতপুর থেকে গ্রেফতার হয় আসরাফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ। ধৃতরা শের মহম্মদের পূর্বপরিচিত বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন তারা এই কাজে শের মহম্মদকে সাহায্য করল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাত কবজি থেকে কেটে নেন স্বামী শের মহম্মদ। তার পর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পালায় সে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায় বাড়িতেই কাটা হাত লুকিয়ে রেখে রেণুর শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে পালিয়েছে শের মহম্মদ। স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় সে অবাধ্য হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে অভিযুক্ত স্বামী তার হাত কেটে নিয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত বধূ যে কাজের জন্য উপযুক্ত তাঁকে সেই পদেই নিয়োগ করা হবে।