ফের ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিল হুগলির একটি গ্রামে। তাতে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এছাড়াও, এখনও পর্যন্ত ওই গ্রামের ৩০ থেকে ৩২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পানীয় জল থেকে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। হুগলির বলাগড় ব্লকের বাকুলিয়া ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিয়াপাড়া গ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং স্থানীয় প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: চা–বাগানের ১১ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, অস্বাস্থ্যকর পানীয় জল থেকে ডায়রিয়া
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মাতাল টুডু (৫০) ও বনি কিস্কু (৬০)। তাঁদের পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত রবিবার থেকেই গ্রামের একের পর এক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পেট ব্যাথা, বমির সঙ্গে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা যাচ্ছে অনেকের। মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্রামের কমপক্ষে ৩২ জন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তাতে বেশ কয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন পাড়ায় পানীয় জলের কল থেকেই ডায়রিয়া ছড়াচ্ছে।
পঞ্চায়েতের কাছ থেকে এই খবর জানতে পেরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়া গ্রামে মেডিক্যাল টিম বসানো হয়েছে। সেখানে আশা কর্মী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই ব্লকের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি দল গ্রাম পরিদর্শন করেছে। জল থেকে সকলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, গ্রামে থাকা দু’টি পানীয় জলের কল রয়েছে। সেখান থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করেন স্থানীয়রা। সেই কল দুটি খুলে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গ্রামে দুটি পুকুর রয়েছে সেখান থেকে যেন কেউ জল সংগ্রহ না করে তার জন্য ব্যানার লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বাইরে থেকে পরিশ্রুত জলের ট্যাঙ্ক এনে স্থানীয়দের জলের চাহিদা মেটাচ্ছে প্রশাসন।ইতিমধ্যেই ব্লকের স্বাস্থ্য দফতর থেকে টিম সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফেও আধিকারিকদের গ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে।