অবৈধ ভাবে চলছিল পাথর খাদান। এই অভিযোগে দুটি পাথর খাদান বন্ধ করা হল প্রস্তাবিত দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি এলাকায়। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই দুটি পাথর খাদানের অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে। আর এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র ওই দুটি পাথর খাদানই কেন বন্ধ করা হল?
শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্ধ করে দেওয়া হয় দেওয়ানগঞ্জ ও সাগরবান্দি এলাকার দুটি পাথর খাদান। এগুলি বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, ওই পাথর খাদান দুটি চালানোর জন্য বৈধ কোনও নথি পত্র ছিল না। সেই কারণেই এগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পাথর খাদান চালাতেন সারতাজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, 'এই পাথর খাদানের ওপর নির্ভর করে প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি মানুষের সংসার চলে। ফলে এগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ওই মানুষগুলি আর্থিক সমস্যার মুখে পড়বেন।' তিনি আরও জানান, এই পাথর খাদানে পাথর উত্তোলন গত ডিসেম্বর থেকেই বন্ধ রয়েছে। এর আগে সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ এসেছিল। তাই পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল। তবে অফিস খোলা ছিল। গত শুক্রবার সেই অফিস সিল করে দেয় প্রশাসন।
আগে সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ এসেছিল। তাই পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল। তবে অফিস খোলা ছিল। গত শুক্রবার সেই অফিস সিল করে দেয় প্রশাসন।
যদিও এর জন্য কেন্দ্রের নীতিকে দায়ী করেছেন আদিবাসী নেতা তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুনীল সোরেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের আপত্তির কারণেই এই ধরনের পাথর খাদান বন্ধ করা হয়েছে। স্থনীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকায় এরকম ৩০টিরও বেশি পাথর খাদান রয়েছে। তাদের অনেকেই দাবি করেছেন, যে দুটি পাথর খাদান বন্ধ করা হয়েছে বাকি খাদান গুলিতেও একই কাগজপত্র রয়েছে। তাহলে কি বাকি খাদান গুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে? তা প্রশ্ন অনেকেরই।