বসিরহাটে বিস্ফোরণ! বলের মতো বস্তু পড়েছিল। সেটি কুড়িয়ে খেলতে গিয়েই ফেটে যায়। তাতে গুরুতর জখম হয়েছে দুই ছাত্র। এর মধ্যে একজনের বয়স ১০ বছর এবং অন্যজনের বয়স ১৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার আড়বেলিয়ায়। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশই সেখানে বোমা ফেলে রেখেছিল। আর তা নিয়ে খেলতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় আহত একজনকে শুক্রবার রাতেই কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার কালিয়াগঞ্জ, বোমা ফেটে তুলকালাম কাণ্ড, জখম ২ শিশু
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুই পড়ুয়া ওই মাঠে বলের মতো বস্তু কুড়িয়ে পায়। সেটি খেলার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যায় বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। পরে সেখানে একজনের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের।
তাদের বক্তব্য, আড়বেলিয়ায় ইটভাটা এলাকায় বসিরহাট পুলিশ জেলা পুলিশের তরফে মাটিয়া, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া থানার জন্য ফায়ারিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এখানে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয় করার প্রশিক্ষণও চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ সেই প্রশিক্ষণের সময় কোনওভাবে পুলিশ বোমা সেখানে ফেলে দিয়েছিল। পরে পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরেই সেখানে দুই শিশু খেলতে যায়। তখন সেটি তারা কুড়িয়ে পায়। বিস্ফোরণে দুজনের মধ্যে ১০ বছরের শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আরজি করে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। স্থানীয়রা এরজন্য পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। কীভাবে পুলিশ দায়িত্ব জ্ঞানহীনভাবে সেখানে বোমা ফেলে দিল তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া নিষ্ক্রিয় করা হলে বোমা কেন ফেটে গেল তানিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন। পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এবিষয়ে পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।