সাত সকালে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল প্রাথমিক স্কুলে। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরে গেল দুই শিক্ষিকার গায়ে। কোনওভাবে আগুন নিভিয়ে তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছে স্কুলের পড়ুয়ারা। আজ সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়ার ঘুঘুপাড়ায় এসআর সারদামণি প্রাথমিক স্কুলে। ঘটনার খবর পেয়ে লিলুয়া থানার পুলিশ এবং দমকল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়ুয়া, শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ আগুন লাগল নিউটাউনে, সিলিন্ডার ফাটার শব্দে ঘুম ভাঙল নগরবাসীর
স্থানীয় এবং স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্কুলে সবেমাত্র প্রার্থনা শুরু হয়েছিল। সেই সময় স্কুলের রান্নাঘর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। সেই শব্দে পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্কুলের সকলে চমকে ওঠেন। তারপরে দেখা যায় রান্নাঘর থেকে আর্তনাদ করতে করতে বেরিয়ে আসছেন দুই শিক্ষিকা। তখন তাদের পোশাক দাউ দাউ করে আগুনে জ্বলছিল।
এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে খুদে পড়ুয়ারা। তখন তড়িঘড়ি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্থানীয়রা সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান। যদিও পড়ুয়াদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে শিক্ষিকা তাপসী গোস্বামী এবং সহকারী শিক্ষিকা ইমলি সাহা ব্রহ্ম ঘটনায় অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন। গায়ের চামড়া মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছে এক শিক্ষিকার। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন তারা রান্না ঘরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সিলিন্ডারটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, আহত অবস্থায় শিক্ষিকাদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, রান্না করতে ঢুকেছিলেন ওই দুজন শিক্ষিকা। হয়তো গ্যাস লিক করেছিল সেই কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে রান্নাঘরের ওভেনের অবস্থা খারাপ ছিল বলে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। মিঠু শীল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘প্রার্থনার জন্য স্কুলে ঘণ্টা পড়ার ২ সেকেন্ডের মধ্যেই একটা বিকট শব্দ পাওয়া যায়। তারপরে দেখি রান্নাঘর দাউ দাউ করে জ্বলছে। সেখান থেকে দুই শিক্ষিকা আর্তনাদ করতে করতে বেরিয়ে আসছিলেন। তাদের গায়ে আগুন ধরে গিয়েছিল। তখন অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভান।’