সিকিমে তুষারধসে মৃতদের মধ্যে ২ জন বাঙাালি। তাঁদের একজনের বাড়ি কলকাতায়। অন্যজনের ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। সিকিম সরকার জানিয়েছে, বাকিদের মধ্যে তিনজন নেপাল ও দু'জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
মৃত পর্যটকদের মধ্যে কলকাতার বাসিন্দার নাম প্রীতম মাইতি। অন্য জনের নাম সৌরভ রায়চৌধুরী। তবে বাড়ি কোথায় তা এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবারের তুষার ধসে তেরোজন পর্যটক জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাত জন বাংলার বাসিন্দা।
শিলিগুড়ির পাপাই সরকার ও রঞ্জিতা দাস এই তুষার ধসে জখম হয়েছেন। কলকাতার পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন, পুতুল সিং, রাকেশ সিং, সুমিত দাস, তথাগত রায়চৌধুরী ও শুভ্রজ্যোতি। এরা প্রত্যেকই গ্যাংটকের হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার বিকালে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান, সিকিমের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ছাঙ্গু থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে তুষারধসের মধ্যে পড়ে প্রাণ যায় ৭ পর্যটকের। যুদ্ধাকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালীয় ভারতীয় সেনা। ৮০টি গাড়ি-সহ ৩৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনায় আহত হন অনেকে।
ঘটনার পর বুধবারও নাথু লা ও ছাঙ্গুর রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই পথে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সিল্ক রুটে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের।