ময়নাগুড়িতে বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে সম্রাটের। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ট্রেনে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল বাড়ির মেয়ের বিয়ের জন্য সোনা। দুর্ঘটনায় সবকিছুই লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। মেয়ের বিয়ে আর হবে কিনা তা নিয়েই সংশয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ট্রেন দুর্ঘটনায় কোচবিহারের ফশ্যাবাড়ির বাসিন্দা সম্রাট কার্জির মৃত্যু হয়েছে। দিদি পিঙ্কি বর্মনের বিয়ে উপলক্ষে জয়পুর থেকে আসছিলেন সম্রাট। সম্রাট জয়পুরে পরিযায়ী শ্রমিক। এসি ১৩ কোচে তাঁর পরিবারের ২২ জন সদস্য ছিলেন। একাধিক সদস্য ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা হতবাক হয়ে যায়। গোটা বগি এমনভাবে উল্টে পড়ে রয়েছে যে সেখান থেকে কোনও কিছু উদ্ধার করা অসম্ভব। পরিবারের সদস্যদের মারফত জানা গিয়েছে, এই ট্রেনেই বাড়ির মেয়ে পিঙ্কির বিয়ের জন্য ঋণ নেওয়া দেড় লাখ টাকা আসছিল। এছাড়া মেয়ের জন্য দুই ভরি সোনাও আনা হচ্ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সব যেভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে, তাতে কোনও জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্রাটের পরিবারের এক সদস্য নরেশ বর্মন জানান, ‘মেয়ের বিয়ের জন্য সর্বস্ব ছিল ওই বগিতে। কেউই আমাদের ওই ব্যাগের হদিশ দিতে পারল না। ছেলেকেও হারালাম। এখন মেয়েটারও যে কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’ তবে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগটিকে যাতে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায়, তার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন রেলের আধিকারিকরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পরিবারটিকে অন্যান্য সবরকম সাহায্য করা হবে।