কুয়ো পরিষ্কার করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। মৃত্যু হল ২ শ্রমিকের। দুই শ্রমিকই কুয়ো পরিষ্কারের জন্য নিচে নেমেছিলেন। কিন্তু, দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোনওভাবে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃতদের শ্রমিকের নাম হল- জগাই রায় (২৫) এবং বাদল বর্মন (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের দক্ষিণ বাড়ইবাড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের কুয়ো থেকে ওঠা ২৮২টি কঙ্কালের রহস্যভেদ? গবেষণায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য!
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় রেজাউল করিম নামে এক বাসিন্দা বাড়িতে ওই কুয়ো বানাচ্ছিলেন। সেটা এখনও সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়নি। সেটি নির্মাণের কাজ চলছে। তবে তার ভিতরে নোংরা জমে থাকায় পরিষ্কারের জন্য তিন শ্রমিককে ডেকেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন কুয়োর নিচে নামতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি নিচে নামে অন্য এক শ্রমিক। কিন্তু, তিনিও নিচে নামার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কোনওভাবে দুজনকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সেখানে ছুটে আসন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে তাদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দিয়েছে থানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেজাউল মাস খানেক আগেই বাড়িতে ওই কুয়ো তৈরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু, মঙ্গলবার সেই কুয়ো পরিষ্কার করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। মৃত দুই শ্রমিকের মধ্যে একজনের বাড়ি হল হেমতাবাদ থানার খাদিমপুর গ্রামে এবং অপরজনের বাড়ি হেমতবাদের ডেহুচি গ্রামে। তাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। শ্রমিকদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কুয়োয় বিষাক্ত গ্যাস থাকার কারণে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।