পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গা। একটি নির্মীয়মান বাড়িতে বোমা ফেটে আহত হয়েছেন দুই শ্রমিক। বোমা রাখা ছিল বাড়ির সিঁড়ির নিচে। উল্লেখযোগ্য ওই বাড়িটি তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও দুটি বোমা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার উত্তর চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজ রবিবার সকালে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বাড়িতে নির্মাণের কাজ ছিল চলছিল। সেই সময় বিস্ফোরণের ফলে ২ শ্রমিক আহত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যের দাদাকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল হাকিম মোল্লা বোমা রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উসকে দিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, তৃণমূলেরই লোক এসব করে থাকতে পারে।
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, তিনি যাতে ভবিষ্যতে পঞ্চায়েতের টিকিট না পান তার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কে বা কারা বোমা রাখল সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কিছুদিন আগেই উত্তর চব্বিশ পরগনা কাঁকিনারায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হয় ৭ বছরের এক শিশুর। এছাড়াও ১০ বছরের এক শিশু আহত হয়েছিল।