বর্ষার আগমনের মুখে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে জেলায় জেলায় হচ্ছে প্রবল বজ্রপাত। রবিবারের পর সোমবারও ব্যাপক বজ্রপাত হয় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তাতে এদিন মোট প্রাণ গেল ২০ জনের। এর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে হুগলিতে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদে।
এদিন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে বাজ পড়ে একই সঙ্গে মৃত্যু হয় ৬ জনের। মাঠে ফসলের পরিচর্যা করছিলেন তাঁরা। তখনই বাজ পড়ে সেখানে। ঝলসে মৃত্যু হয় ৬ জনের। এছাড়া সুতির আসগরপাড়ায় বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বহরমপুরের নিমতলায় বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হুগলির তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার রসিদপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। জেলার হরিপালে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। কৃষিকাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সিঙুরের নসিবপুরে বাড়ির উঠোনে গৃহস্থলির কাজ করার সময় মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় বাজ পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে মৃত্যু হয়েছে আরও ১ জনের।
এছাড়াও বাঁকুড়ায় ২ জন ও পূর্ব মেদিনীপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বাজ পড়ে। বিভিন্ন জেলায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৬ জনের।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বর্ষার আগমনের মুখে দক্ষিণবঙ্গে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে জলীয় বাস্পের মধ্যে সঞ্চিত হয়েছে প্রচুর তাপশক্তি। যার ফলে রোজই ব্যাপক বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। সঙ্গে চলছে ব্যাপক বজ্রপাত। যার জেরে ঘটছে প্রাণহানি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের বিপদ থেকে বাঁচতে রয়েছে একাধিক অ্যাপ। তাছাড়া আকাশে বিদ্যুতের চমক দেখেও সতর্ক হওয়া সম্ভব। বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হতে দেখলেই নিরাপদ পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।