ধর্ষককে অপহরণ করে বিয়ে করার চেষ্টা এক তরুণীর। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে। শেষ পর্যন্ত যদিও পরিকল্পনা সফল হয়নি। যুবককে নিয়ে মন্দিরে যাওয়ার পথে তরুণীর বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন তরুণীও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ কাপাড়ি নামে ২৪ বছরের ওই যুবকের বিরুদ্ধে গত ১৫ মে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। এর পর আকাশকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার জামিনে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে জেল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন যুবক। পথে খড়গপুর শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার চৌরঙ্গী মোড়ে তাঁর পথ আটকায় অভিযোগকারী তরুণীর বাবা-সহ প্রায় ডজনখানেক দুষ্কৃতী। যুবককে একটি গাড়িতে তুলে নেয় তারা। এর পর কলকাতার দিকে ছুটতে থাকে গাড়ি। । যদিও সেই গাড়িতে ওঠেননি তরুণীর বাবা। তিনি ফিরে আসেন নিমপুরার বাড়িতে।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করেন আকাশের বাবা দীপক কাপাড়ি। পুলিশ পৌঁছয় তরুণীর নিমপুরের বাড়িতে। সেখান থেকে তরুণীর বাবাকে আটক করে চৌরঙ্গীতে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। এরই মধ্যে মেয়েকে ফোন করে পরিকল্পনা বাতিল করতে বলেন বাবা। মেয়ে আকাশকে নিয়ে ফিরে আসেন চৌরঙ্গীতে। সেখানে আকাশকে উদ্ধার করে তরুণী ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী জানিয়েছেন, জকপুরের একটি মনসা মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। অপহরণ করে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে।
পুলিশের কাছে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী জানিয়েছেন, গত ৩ বছর ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় জড়িয়েছেন আকাশ। পরে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই যুবক। এর পরই আকাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে সে। কিন্তু তরুণী যখন প্রথম শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তখন তিনি নাবালিকা হওয়ায় পকসো আইন প্রয়োগ করে পুলিশ। তাতে আকাশের জেল হেফাজত হয়। শনিবার জামিন হয় তাঁর। সংশোধনাগারের কাজ কর্ম মিটিয়ে মঙ্গলবার মুক্তি পায় সে। আর বাড়ি যাওয়ার পথে এই কাণ্ড।