চলছে অমাবস্যার ভরা কোটাল। এর প্রভাব থাকবে ৪ দিন। আর তার জেরে রবিবার পর্যন্ত প্রায় ২১ ফুট উচ্চতায় বান আসতে পারে গঙ্গায়। আজ, বৃহস্পতিবার মহালয়া নিয়েই মূল চিন্তা ছিল পুলিশ–প্রশাসনের। এদিন সকালে পিতৃতর্পণের উদ্দেশে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে। যদিও এদিন নির্বিঘ্নেই কেটেছে তর্পণপর্ব। বান আসার কোনও খবর মেলেনি। কিন্তু বাকি তিনদিনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে হাওড়া জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছে কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বান রুখতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা যায় সে ব্যাপারে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকে ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, সেচ দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, সকালবেলা বানের উচ্চতা সর্বোচ্চ হবে। তাই ভোর থেকে প্রতিটি ঘাটে সজাগ দৃষ্টি রাখবে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের দল। শুক্রবার ও রবিবার আবার বিশ্বকর্মা প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে। হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন হবে। সেদিকেও নজর রেখেছে প্রশাসন। পুলিশ ও পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘাটে রয়েছে সহায়ক বুথ।
হাওড়া পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গঙ্গা ঘাটে মাইকে ঘোষণা করা শুরু হয়েছে। তৈরি রয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। এই পরিস্থিতির ব্যাপারে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে। পুরসভার ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। লোকজন যাতে বিপদসীমার কাছে যেতে না পারে তার জন্য ঘাটগুলি দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।