একুশে জুলাই শহিদ দিবসকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় চলছে তৃণমূলের প্রস্তুতি। শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে ধর্মতলায় মানুষের ভিড় টানতে এখন থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আর সেই প্রচারে দেখা গেল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলের অনুষ্ঠানের প্রচারের জন্য কীভাবে সরকারি টাকা খরচ করা হতে পারে! তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান জিতু দাস জানিয়েছেন, দলের উদ্যোগে একুশে জুলাইয়ের সভার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দলের উদ্যোগে কর্মীসভা হয়েছে। কীভাবে মানুষ যাবেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তিনিও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। সরকারি টাকায় কেন দলের প্রচার তার সঠিক উত্তর অবশ্য তিনি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, বুথ সভাপতি সকলের উদ্যোগেই প্রচারের কাজ চলছে। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
এ বিষয়ে বিজেপির মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস দল আর সরকারের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সরকার চালানোর নামে এরা লুঠ করছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে গোটা রাজ্যের আইন ব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে।’ একুশে জুলাই শহিদ দিবস পালন উপলক্ষ্যে তিনি বলেন, ‘সিপিএম হার্মাদদের হাতে একুশে জুলাই খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মী। আর তা পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের কোনও নীতি আদর্শ নেই। সরকারি টাকায় এভাবে প্রচার বন্ধ করা উচিত।’