প্রস্তাবিত দেউচা পাচামিতে কয়লা প্রকল্পের জন্য জমিদা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই চাকরি পেলেন এই কয়লা প্রকল্পে জমিদাতা পরিবারের ২৬০ জন। গতকাল তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। তাদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
বীরভূমের মহম্মদ বাজারে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পকে ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আন্দোলনে নেমেছিলেন আদিবাসীরা। তারা জমি দিতে কার্যত অস্বীকার করেছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জমিদাতাদের অনুমতি ছাড়া জমি নেওয়া হবে না। স্থানীয়দের বিক্ষোভ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে গত নভেম্বর মাসে পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, যারা এই প্রকল্পের জন্য জমি দেবে তাদের প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে থেকে একজনকে জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে আরও উচ্চ পদে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই জমি দিতে রাজি হন অনেকেই। কিন্তু, চাকরি না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আদিবাসীরা। অবশেষে চাকরি পাওয়ায় খুশি জমিদাতারা।
প্রসঙ্গত, এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প হতে চলেছে দেউচা পাঁচামি। মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণার পর জমি দিতে রাজি হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার জমিদাতা। গতকাল তাদের মধ্যে ২৬০ জনকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, নবনিযুক্তদের আগামী রবিবার থেকে বারাকপুরে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তিন চার মাস প্রশিক্ষণের পর তারা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি করবেন। এই উপলক্ষ্যে এদিন সিউড়িতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিলেন জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।