শুক্রবারই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকী ‘শ্রমিক এক্সপ্রেসের নামে করোনা এক্সপ্রেস চালানো হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার ক্ষোভ যে অমূলক নয় তার জানান পাওয়া গেল রেলেরই পরিসংখ্যানে। সেই পরিসংখ্যান অনুসারে ৩৬ ঘণ্টায় মালদায় পৌঁছেছে ২৭টি ট্রেন।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন গন্তব্য থেকে এসেছে এই ট্রেনগুলি। এর মধ্যে অন্তত ১২টি ট্রেন মুম্বই থেকে এসেছে। বাকিগুলি এসেছে করোনার রেড জোন দিল্লি, সুরাত থেকে। একটি ট্রেন এসেছে লুধিয়ানা থেকেও।
এই ২৭টি ট্রেনের মধ্যে ১৩টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন পৌঁছেছে শুক্রবার। শুক্রবার রাতের মধ্যে মালদায় আরও ১০টি ট্রেন ঢুকবে বলে জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক। ট্রেনের যাত্রীরা অধিকাংশ মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনে করে যারা ফিরছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই গ্রামে ফেরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
ওদিকে বাঁকুড়ায় কেরল থেকে মালদাগামী একটি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের চেন টেনে ৫৮ জন যাত্রী নেমে পড়েন। তাদের সবাইকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সরকারি গাড়িতে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার মুম্বই থেকে হাওড়াতেও একটি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন এসেছে বলে জানা গিয়েছে।