শিলিগুড়িতে ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে পুলিশের উর্দি পরিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল ১৮ জন যুবককে। কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীর সন্দেহ হওয়ায় ফাঁস হয় যাবতীয় জারিজুরি। প্রতারণার বহর দেখে অবাক পুলিশকর্তারাও।
শনিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে পুলিশের উর্দি পরা কিছু যুবককে শারীরিক কসরৎ করতে দেখেন সেখানে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। থানা থেকে আধিকারিকরা এসে প্রশিক্ষণে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু তাদের উত্তর সন্তোষজনক ছিল না। এর পরই ৩ জন প্রশিক্ষকসহ ১৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। টানা ৬ ঘণ্টার জেরায় প্রতারণার কথা স্বীকার করে নেয় চক্রের ৩ পান্ডা।
তারা জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে যুবকদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত প্রতারকরা। তার পর সেই যুবকদের নিয়ে আসত শিলিগুড়িতে। তাদের ভুয়ো নিগোপত্র ও উর্দি দেওয়া হত। এর পর শহর ও শহর লাগোয়া বিভিন্ন মাঠে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এমনকী পাখি মারার বন্দুক দিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হত তাদের।
শনিবার বাঘাযতীন ময়দানে তেমনই প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণরত প্রত্যেকেই ছিলেন পুলিশের উর্দিতে। থানার পুলিশকর্মীরা গিয়ে পৌঁছলে তারা দাবি করেন বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। কিন্তু এরকম কোনও বাহিনীর প্রশিক্ষণের কোনও খবর নেই বলে ফোনে থানার আধিকারিকদের জানান শিলিগুড়ি কমিশনারেটের শীর্ষকর্তারা।
পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে ভুয়ো প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনা এর আগে দেখেননি তারা। এই ঘটনায় প্রশিক্ষণরত ১৮ জন যুবককে আটক করে রেখেছে পুলিশ। গ্রেফতার করেছে চক্রের ৩ পান্ডাকে।