দীর্ঘদিনের প্রেম। কয়েকদিন আগেই স্থানীয় মন্দিরে প্রেমিক সুজন সরকারকে বিয়ে করেন কলেজ পড়ুয়া সুমনা দরানি। দু’জনেরই বাড়ি নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই দক্ষিণ জিৎপুরে। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু গোল বাঁধল ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার পর। ওই তরুণীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানালে বেঁকে বসে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার। তাই শেষমেশ শাঁখা, সিঁদুর পরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রী।
জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লকডাউন চলাকালীন একাধিকবার সুমনার সঙ্গে সহবাস করে সুজন। সুমনা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার পর সে কথা জানাতে ২২ জুলাই তিনি প্রেমিকের বাড়িতে যান। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। পুলিশকে জানানো হয়। ২৩ জুলাই থানায় দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওদিন থানায় আসেইনি সুজনের পরিবার। আর তার পর থেকেই বেপাত্তা প্রেমিক।
মঙ্গলবার ওই তরুণী জানান, যতক্ষণ তাঁকে যোগ্য সম্মান না দিয়ে প্রেমিকের ঘরে তোলা হবে ততক্ষণ ওখানেই বসে থাকবেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিকের মা মমতা সরকার জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলে বাড়ি ফিরলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।