নবান্নের আমলার বিলেতফেরত ছেলে যা বোঝেননি সেটাই বুঝে নজির গড়লেন নদিয়ার হদ্দ গ্রামের ৩ ছুতোর মিস্ত্রি। ভিনরাজ্য থেকে ফিরে গ্রামে ঢোকার বদলে বসতি থেকে দূরে তাঁবু ফেললেন তাঁরা। এভাবে কয়েকদিন থাকার পর বিডিয়োর উদ্যোগে অবশেষে হোম কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা হয়েছে তাঁদের। তবে ৩ যুবকের উদ্যোগকে সেলাম করছেন গ্রামবাসীরা।
বাড়িতে জায়গা না থাকায় পুরুলিয়ায় গাছের ওপর কোয়ারেনটাইনে থেকে গোটা দেশের সামনে নজির গড়েছিলেন কয়েকজন যুবক। তেমনই ছবি এবার এল নদিয়া জেলার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের রঘুনাথপুর – হিজলি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। গ্রামের কয়েকজন যুবক দিনকয়েক আগে ওড়িশা থেকে ফেরেন। পেশায় সূত্রধর ওই যুবকেরা করোনা সংক্রমণ রুখতে গ্রামে না ঢুকে বসতি থেকে কিছু দূরে তাঁবু ফেলেন। সেখানেই দিনযাপন চলছিল তাঁদের।
ভিনরাজ্য থেকে ফেরা এক যুবকের কথায়, ‘আমাদের থেকে গ্রামে কোনও রোগ ছড়াক তা আমরা চাই না। তাই বসতি থেকে দূরে তাঁবু খাটিয়ে ছিলাম। আশার দিদিরা এসে দেখে বলেছিলেন, শরীরে উপসর্গ নেই। তবু ঝুঁকি নিইনি।’
তিন যুবকের তাঁবুতে থাকার খবরে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও খোকন কর্মকার উদ্যোগী হন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যুবকদের বাড়িতেই কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা হয়েছে।‘