গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার। তাপপ্রবাহের কবলে রাজ্যের ন’টি জেলা। বৃষ্টির কোনও দেখা নেই। এই তীব্র গরম একই দিনে মৃত্যু হল তিনজনের। এর মধ্যে একজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থী যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। পরীক্ষার্থীর নাম আনিসা আফরিন মণ্ডল। বাড়ি তপসিয়ায়। এছাড়াও, প্রৌঢ় এবং এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনিসা পরিবারের সঙ্গে গতকাল রোজা রেখে ইদের কেনাকাটা করতে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে ইফতার সেরে পড়তে বসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আনিসা। তার বমি হতে শুরু করে এরপর চিকিৎসককে ফোন করা হলেও চিকিৎসক আসতে দেরি করেন বলে অভিযোগ। পরে চিকিৎসক এসে ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের অনুমান প্রবল গরমে ডিহাইড্রেশনের ফলে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা জানান, বমির সঙ্গে মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হয়েছিল অনিসার। অন্যদিকে, এদিনই তীব্র গরমে উত্তরপাড়া স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক প্রৌঢ় । তাকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। একই দিনে বাড়িতেই গরমের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন হাওড়ার এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি, তীব্র তাপদাহে গতকাল পরীক্ষা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা হলে বসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সায়নীকা চক্রবর্তী নামে ওই ছাত্রী। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতলে। তার পর হাতে স্যালাইনের সূচ নিয়ে হাসপাতালেই পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে তাকে পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।