চলতি সপ্তাহে ৩ দিন পরপর সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের হামলায় মৃত্যু হল ৩ মৎস্যজীবীর। বন দফতরের অভিযোগ, তাদের তরফ থেকে বারবার সাবধান করা হচ্ছে, প্রচার চালানো হচ্ছে, কিন্তু তাতে কান না দেওয়ার ফলে এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
বৃহস্পতিবার সুন্দরবন কোস্টাল থানার মরিচঝাঁপি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের থাবায় প্রাণ হারান মৎস্যজীবী বাবুলাল রপ্তান (৩০)। এর পর শুক্রবার সুন্দরবনের ৪ নম্বর ঝিলা জঙ্গলে বাঘের কবলে পড়ে মুন্না গাজী (২৫) নামে আর এক মৎস্যজীবী মারা যান। আর রবিবার একইভাবে মৃত্যু হয়েছে মৎস্যজীবী গোপাল বৈদ্যর।
৬২ বছর বয়সী গোপালের বাড়ি গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়া দ্বীপে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ৩ জন মৎস্যজীবীর একটি দল সুন্দরবনের ৬ নম্বর ঝিলা জঙ্গলে গিয়েছিল কাঁকড়া সংগ্রহ করতে। সেই দলেই ছিলেন গোপাল বৈদ্য। রবিবার সকালে যখন তাঁরা কাঁকড়ার খোঁজে জঙ্গলে ঢোকেন তখনই আচমকা একটি বাঘ তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মৎস্যজীবী গোপালকে মুখে করে নিয়ে বাঘটি পালিয়ে যায়। অন্য দুই সঙ্গী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়নি গোপালকে। পরে এই দুর্ঘটনার কথা সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে জানান ওই দুই মৎস্যজীবী।
জানা গিয়েছে, মৎস্যজীবীদের এই দল সরকারি অনুমতি নিয়েই জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। সজনেখালি বন দফতর থেকে তাঁরা অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। পরপর বাঘের হানায় মৎস্যজীবীদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া সুন্দরবন জুড়ে।