গত কয়েক মাস ধরেই চরমে পৌঁছেছে আলুর দাম। অনেক চেষ্টা করেও আলুর দাম বাগে আনতে পারেনি রাজ্য সরকার। আর আলুর দাম যত বেড়েছে ততই বেড়েছে চুরির সম্ভাবনা। সেই মতো গুদামের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন পাইকার ও খুচরো ব্যবসায়ীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল কই। গুদাম ভেঙে আলু নিয়ে পালাল চোরের দল। তাও ১ – ২ বস্তা নয়, গুনে গুনে ৩০ বস্তা। সঙ্গে গিয়েছে কয়েক বস্তা পেঁয়াজও।
শাসন থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে আলু পেঁয়াজের কারবার করেন আসানুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। রবিবার রাতে গুদামে তালা দিয়ে রেখেছিলেন ৩০টি আলুর বস্তা। থানার কাছে দোকান বলে নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলেন রাতে। সোমবার সকালে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন, ৩০টি আলুর বস্তা গায়েব করে দিয়েছে চোরের দল। যার দাম প্রায় ৬০,০০০ টাকা। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে কয়েকটি পেঁয়াজের বস্তাও।
সোমবার সকালে তিনি দেখেন, গুদামের তালা ভাঙা। গায়েব ৩০টি আলুর বস্তা। তবে আলু ও পেঁয়াজ ছাড়া অন্য কিছুতে হাত দেয়নি চোরের দল। আলু উদ্ধারে সঙ্গে সঙ্গে শাসন থানায় অভিযোগ জানান তিনি। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত চোরের সন্ধান পায়নি পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে চলছে তদন্ত।
গত কয়েক মাস ধরেই আলু অগ্নিমূল্য। বারবার চেষ্টা করেও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, আলুর বন্ড রয়েছে তৃণমূল নেতাদের হাতে। বিধানসভা নির্বাচনে পার্টির তহবিল তৈরির জন্য তাঁরা বাজারে আলুর কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করছেন। গরু ও কয়লা পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনী তহবিল গড়ার জন্য আলুকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। তাতে পকেট ফুটো হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।
পালটা তৃণমূলের দাবি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে আলুকে বাদ দেওয়ায় মজুতদারি বাড়ছে। যার জেরে বাড়ছে আলুর দাম।