রাত পোহালেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা এবং খড়দহ কেন্দ্রে সকাল থেকে শুরু হয়ে যাবে উপনির্বাচন। এখন দেখে নেওয়া যাক কেন্দ্রগুলির প্রার্থী তালিকা এবং সমীকরণ।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি বুথ থাকলে ৪ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবেন। একটা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ২ থেকে ৪টি বুথ থাকলে ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। আর ৫ থেকে ৮টি বুথ থাকলে ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে এবং ৯ বা তার বেশি বুথ থাকলে ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রাখা হবে।
কোন কেন্দ্রে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী? নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দিনহাটা কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, খড়দহ কেন্দ্রে ২০ কোম্পানি, শান্তিপুর কেন্দ্রে ২২ কোম্পানি এবং গোসাবা কেন্দ্রে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন পুলিশ–প্রশাসনের কর্তারা।
এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কেন্দ্রে কারা প্রার্থী। শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র—তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। বামফ্রন্ট প্রার্থী সৌমেন মাহাতো এবং কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল। শান্তিপুরে বামফ্রন্ট–কংগ্রেসের আকচাআকচি আছে। তাই দুই দলই প্রার্থী দিয়েছে। এখানে বরাবর কংগ্রেস প্রার্থী দিয়ে থাকে। বিজেপি জিতেও এখানে আসন ছেড়ে সাংসদ পদ বেছে নেন জগন্নাথ সরকার। তাই এখানে ফের উপনির্বাচন।
দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র— বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল, বামফ্রন্ট প্রার্থী আব্দুর রউফ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ৷ এখানেও উপনির্বাচনের কারণ বিজেপি। যেহেতু এখানে নিশীথ প্রামাণিক ভোটে জিতেও সাংসদ পদকে বেছে নেন, তাই এটা খালি আসনে পরিণত হয়। এখন এখানে রাত পোহালেই উপনির্বাচন হবে।
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র—খড়দহ কেন্দ্রে একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সিনহা। কিন্তু ফল ঘোষণার আগেই করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয় তাঁর। তাই ফের উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আর বিজেপির প্রার্থী জয় সাহা। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস সহানুভূতির জেরে অনেকটা এগিয়ে আছে। তাছাড়া আগে এখানে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে বামফ্রন্ট প্রার্থী করেছে দেবজ্যোতি দাসকে।
গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র— এখানে বিজেপি প্রার্থী পলাশ রাণা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সুব্রত মণ্ডলকে। আর বামফ্রন্ট প্রার্থী করেছে অনিলচন্দ্র মণ্ডল। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন জয়ন্ত নস্কর। কিন্তু তিনিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাই এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানে লাভলি মৈত্র থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করে গিয়েছেন। ২ নভেম্বর ভোট গণনা।