মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর আবার শিয়াল হানার ঘটনা ঘটল। শুক্রবার শিয়ালের হামলায় আহত হয়েছেন ৪ জন কৃষক। এমনিতেই গত কয়েকদিনে হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে শেয়াল হানার ঘটনার জেরে আতঙ্কে গোটা এলাকা। এরই মধ্যে আবার একই ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা সুলতাননগর গ্রামপঞ্চায়েতের ডহরা এলাকায় শুক্রবার সকালে ধান কাটতে যান এলাকার কৃষক আয়নাল হক (৫৮),মাসিরুল হক (১৮), রবিউল ইসলাম (২৪)। ধান কাটার সময় অতর্কিতে জমি থেকে শেয়ালের দল বেরিয়ে এই তিন জনকে ঘিরে ধরে। ক্রমশ বাড়তে থাকে শিয়ালের সংখ্যা। শিয়ালের হানায় গুরুতর জখম হন কৃষক আয়নাল হক ও তার ছেলে মাসিরুল হক এবং প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম। তিনজনের শরীর থেকে মাংস খুবলে নেয় শিয়ালের পাল। গ্রামবাসী হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকা এদেশে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে প্রায় একই সময়ে তুলসিহাটা অঞ্চলের কামারতা গ্রামে একই কায়দায় জমিতে শিয়ালের হামলার মুখে পড়েন কৃষক সকাল দাস (৪০)। পাল্টা হামলা চালান তিনি। তাতে একটি শিয়ালের মৃত্যু হয়। সকালবাবুকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর।
সকাল সকাল শিয়ালের আক্রমণের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। ইতিমধ্যে শেয়াল আক্রমণের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় রাজ্যের কাছে শেয়াল নিয়ন্ত্রণ এবং এলাকাবাসী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আশ্বাস দেন শেয়াল নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সেই আশ্বাস দেওয়া সত্বেও একের পর এক ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
তুলসিহাটা এলাকার বাসিন্দা তপন দাস জানান, আমার দাদা সকালবেলা একটি ছাগলকে শিয়ালের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন। দিনের-পর-দিন শিয়াল হানাত ঘটনা বেড়েই চলেছে। আমরা চাই প্রশাসন এ ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালাক।