দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর ওপর বাঁশ, রড দিয়ে হামলা চালাল। ভাঙচুর করা হল একাধিক দোকান। দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন চারজনেরও বেশি। ভাই ফোঁটার দিন এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি। আহতদের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল।
মহুয়া অনুগামীদের বিরুদ্ধে ক্লাবে হামলার অভিযোগ, কৃষ্ণনগরে TMC-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে এলাকার দুই যুবকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তাদের মধ্যে মারপিট বেঁধে যায়। এরপর অন্যান্যরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় আহত এক যুবক সুভাষ পণ্ডিতের মা অনিমা পণ্ডিতের দাবি তিনি তৃণমূল করেন। তার ছেলে বাড়ি ফেরার সময় অন্য এক যুবক তাকে গালিগালাজ করে। ওই যুবক তার ছেলেকে রড নিয়ে মারতে আসে। তাকে আটকাতেই অন্যান্যর যুবকরা মারধর করতে শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপক্ষের সংঘর্ষে স্থানীয় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। তাদের মতে, এটি পাড়ার দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল বলেন, ক্লাবের বিবাদকে কেন্দ্র করে এদিনের ঘটনার সূত্রপাত। তার সঙ্গে রাজনীতি জড়িত নয়। এই ঘটনায় মেমারি থানার পুলিশ ইতিমধ্যে কয়জনকে আটক করেছে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ জানায়নি।
অন্যদিকে, এই ঘটনার দুদিন আগেই কালীপুজোর চাঁদাকে কেন্দ্র করে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। একটি ক্লাবে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যারা হামলা চালিয়েছিল তারা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের অনুগামী ছিলেন বলে আক্রান্তদের দাবি ছিল।