দীর্ঘদিনের প্রেম। তারপরেই বিয়ে। কিন্তু সুখের হল না সংসার জীবন। পরিবারে নিত্য অশান্তির জেরে চরম পরিণতি হল গৃহবধুর। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার জগদীপোঁতা এলাকার। এই ঘটনায় গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। ইতিমধ্যেই মৃত গৃহবধূর স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম পিউ সাঁপুই (১৬)। এই ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় মাস আগে জগদীপোঁতা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিল পিউর। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই স্বামী, শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যের সঙ্গে তার ঝামেলা হত। একাধিকবার এ নিয়ে অশান্তিও হয়েছে। ঝগড়া করে ওই গৃহবধূ একবার বাড়িও চলে গিয়েছিল। পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পার্টি অফিসের মধ্যস্থতায় আবার তাকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল।
মেয়ের বাবা দীপঙ্কর সাঁপুই বলেন, ‘বিয়ে করার পরেও জামাই কোনও কাজ করত না। তার মা কাজ করে খাওয়াত। এই নিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে মেয়ের ঝামেলা হত। সেই ঝামেলার মধ্যেই তার শাশুড়ি তাকে খুন্তি দিয়ে মারধর করত। এমনকি ঝামেলার সময় বাইরের লোকদের তারা বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দিত না।’ তার অভিযোগ, মেয়েকে গতকাল রাতে মারাধর করা হয়েছিল। তারপরে তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দাবি, যে অবস্থায় তার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে তার পা মাটিতে ঠেকেছিল। তাহলে কীভাবে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে? তাই নয় প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার বাবা।
যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছে ওই গৃহবধূ। তবে তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ নিশ্চিত যে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হতো ওই গৃহবধূর উপর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ ওই গৃহবধুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।