রূপান্তরকামীরাও স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উঠে আসে, রূপান্তরকামীও স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পাচ্ছেন। রাজ্যে পায় ৪৩ হাজার রূপান্তরকামী এই পরিষেবার জন্য নিজেরদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
এই স্বাস্থ্যবিমা কার্ড পাওয়ার জন্য একটি ফর্মপূরণ করতে হয়। সেই ফর্মে উপভোক্তার লিঙ্গ কী তা লিখতে হয়। সেই জায়গায় রূপান্তরকামীরা নিজেদের পরিচয় প্রাকশ্যে আনছেন। এ নিয়ে ঢোলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও ট্রান্সজেন্ডার ডেভলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন,'রূপান্তরকামী হিসাবে যদি তিনি ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড পেয়ে থাকেন তবে স্বাস্থ্যাসাথী কার্ডের পরিষেবা নিতে সমস্যা কোথায়।'
(পড়তে পারেন: জঙ্গলে হাতির পর্যাপ্ত খাবার আছে কিনা জানার জন্য সমীক্ষা বনদফতরের)
বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ
রূপান্তরকামীদের পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুরকমিশনার বা জেলাশাসকরা নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন। বৃদ্ধাশ্রমের পাঁচজন বা তার বেশি আবাসিকরা একসঙ্গে আবেদন করলে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে জেনে নেওয়া হয়, উপভোক্তার ছেলে-মেয়ে বা আত্মীয়স্বজন আছে কি না।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছে। মাসে গড়ে ২০০-২২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় বিমার দাবি বাবদ টাকা মেটাতে।