গভীর নিম্নচাপের ফলে বিগত তিন দিন ধরে সারা রাজ্য জুড়ে চলছে টানা বৃষ্টিপাত। এর ফলে নদীগুলিতে জলের পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। তেমনি সমুদ্রও রয়েছে উত্তাল। সেই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির খবর পেয়ে উপকূলে ফিরে আসছিল মৎস্যজীবীদের ট্রলার। সেই নিখোঁজ হয়ে গেল ৩টি ট্রলার। এই ট্রলারগুলিতে মোট ৪৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই মৎস্যজীবীদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ট্রলারগুলির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। জানা গিয়েছে,হেলিকপ্টারের সাহায্যে তাদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জল পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বাংলাদেশিদের? কড়া নজর ভারতের, মৎস্যজীবীদের সতর্কতা
মৎস্যজীবীদের খোঁজ নেওয়া পাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা। যে মালিকের অধীনে মৎস্যজীবীরা কাজ করছিল তাদের বাড়িতে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। মৎস্যজীবীদের পরিবারের অভিযোগ, তাদের কোনও খোঁজ খবর দেওয়া হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, যে তিনটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে সেগুলির নাম হল এফবি বাবা নীলকন্ঠ, এফবি শ্রী হরি ও এফবি মা রিয়া। এর মধ্যে প্রথম ট্রলারটি কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল। এতে ১৬ জন মৎসজীবী রয়েছেন। বাকি দুটি ডায়মন্ড হারবার মৎস্য বন্দর থেকে রওনা দেয়। সেগুলিতে ১৪ জন ও অন্যটিতে ১৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। ট্রলারগুলি গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর রওনা দেয়।
ট্রলারগুলি রওনা দেওয়ার পরেই মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে গভীর সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়। একে একে সব ট্রলার উপকূলে ফিরে আসলেও ওই তিনটি ফিরে আসেনি। জানা গিয়েছে, ট্রলারগুলির মেশিন ও ওয়্যারলেস খারাপ হয়ে পড়ে। তখন অন্য ট্রলারের সাহায্যে সেগুলিকে টেনে আনা হয়। তবে স্রোত বেশি থাকাই শেষ পর্যন্ত সেগুলিকে আর টেনে আনা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় বেশ কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ট্রলারগুলির সঙ্গে কোনওরকম ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। মৎস্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে ট্রলার গুলি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ভিডিয়োটি উপকূল রক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়েছে তারা জাহাজের পাশাপাশি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ট্রলারগুলির তল্লাশি চালাচ্ছেন।