ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে জামিন পেলেন না ৫ জন অভিযুক্ত। আজ আদালতে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালে সেই আবেদন নাকচ করে দেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারক। এরপরে ফের তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই ৫ জন অভিযুক্ত হলেন তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু, ভাইপো দীপক কান্দু, আসিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান প্রামাণিক।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাদের বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আজ আদালতে আরও একবার ধৃত আসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন জানায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, আসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। জেলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এই পাঁচ অভিযুক্তকে। এর আগের শুনানিতে অভিযুক্তদের জেল হেফাজত হয়েছিল। সেই সময়সীমা পূরণ হওয়ায় আজ বুধবার ফের অভিযুক্তদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিনের আবেদন করলে তার তীব্র বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, এখনও এই মামলায় তদন্ত শেষ হয়নি। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তাদের আপাতত জামিন দেওয়া হবে না। জামিন হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিবিআই আইনজীবী। এই যুক্তি বিবেচনা করে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রসঙ্গত, সকল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারা। অভিযুক্ত আশিক খানকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। এর আগে গত ৪ তারিখ ধৃত দীপক কান্দুকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গত সোমবার ঝলদা থানার প্রাক্তন আইসি সঞ্জীব ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।