এবার সোনারপুর থেকে গ্রেফতার হল পাঁচ বাংলাদেশি। ধৃতদের আজ পেশ করা হবে বারুইপুর আদালতে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ বৈকুণ্ঠপুর এলাকা থেকে এই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। কীভাবে ও কী কারণে এই বাংলাদেশিরা এখানে এসেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে জানা গিয়েছে, একটি বস্ত্র কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত তারা। এদিকে এই পাঁচ বাংলাদেশি যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, তার মালিক পলাতক। এই আবহে সেই বাড়ির মালিকের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ধৃত বাংলাদেশিদের পাঁচ জনই পুরুষ। তাঁদের জেরা করছে পুলিশ। কার সাহায্যে তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: কেরলে ৬ বছর ধরে ৬০ জন ধর্ষণ করেছিল নাবালিকা ক্রীড়াবিদকে! পুলিশের জালে ২৮)
আরও পড়ুন: নব নালন্দা স্কুলে দুর্ঘটনায় আহত একাধিক পড়ুয়া, একজনের মাথায় পড়ল ৪০টা সেলাই
আরও পড়ুন: দিল্লি নিবাসী হাসিনা কন্যার বিরুদ্ধেও মামলা বাংলাদেশে, কী অভিযোগ পুতুলের নামে?
জানা যায়, একবছরেরও বেশি সময় ধরে সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন এই ৫ জন বাংলাদেশি। তবে প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গেই কথা বলতেন না তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনীভাবেই তাঁরা ভারতে এসেছিলেন। তারপর সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাঁরা থাকতে শুরু করেছিলেন। এলাকার বাসিন্দাদের সাথে সেইভাবে মেলামেশা করতেন না তাঁরা। ফলে তাঁদের সম্পর্কে প্রতিবেশীরা কেউই খুব একটা কিছু জানে না। তবে যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়ির মালিক পলাতক। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে জেনে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ফের পারদ নামবে দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় রাতে কেমন ঠান্ডা পড়বে আগামী ক'দিন?)
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের ক্যাম্পে স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন, সঙ্গমে পূণ্যস্নান করবেন ১৪ তারিখ
এর আগে গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে ২ বাংলাদেশিকে ধরেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে এক ধৃতের নাম নুরুল ইসলাম। তবে এখানে তিনি নাম বদলে নারায়ণ অধিকারী হয়েছিলেন। আর তাঁর বাবার নাম গিয়াস মিঞা বদলে হয় নগেন অধিকারী। নুরুল আদতে গাজিপুর জেলার বাসিন্দা। দক্ষিণ কাজিপাড়ার বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকতেন নুরুল। এই রফিকুলের আসল বাড়িও বাংলাদেশের মাদারিহাটে। সম্প্রতি এই দু’জনের সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পেয়ে যায় পুলিশ। তারপরই ওত পেতে দু’জনকেই বামনগাছি চৌমাথা সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রফিকুল কৌশলে নুরুলকে নারায়ণ নামে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।