পোশাকি নাম ‘প্রশিক্ষণ শিবির’। আসলে বিধায়কদের দলবদল রুখতে বৈঠক। আর সেই বৈঠকে দেখা মিলল না বিজেপির ৫ বিধায়কের। যার পর নতুন করে শুরু হয়েছে দলবদলের জল্পনা।
মুকুল রায় গিয়েছেন জুনেই। সপ্তাহের প্রথম ২ কাজের দিন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন আরও ২ বিধায়ক। তার পরই তড়িঘড়ি বুধবার বিধায়কদের বৈঠক ডাকে বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে কলকাতায় বসে বৈঠক। পৌরহিত্যে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হয় বিজেপি নেতৃত্বের। পৌরহিত্যে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী। ছিলেন ২ সাংসদ জন বারলা, রাজু বিস্তাও। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বিজেপির ২৯ জন বিধায়কের মধ্যে সেখানে দেখা মেলেনি উত্তরের ৫ বিধায়কের। সঙ্গে বৈঠকে আমন্ত্রণ থাকা সত্বেও যাননি দক্ষিণবঙ্গের ২ বিধায়ক।
উত্তরবঙ্গ থেকে অনুপস্থিত বিধায়করা মালদার গোপালচন্দ্র সাহা, কুমারগ্রামের মনোজ ওরাওঁ, বালুরঘাটের সত্যেন্দ্রনাথ রায় ও হবিবপুরের জোয়েল মুর্মু। এর মধ্যে ২ জন বিধায়ক বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বলে দাবি বিজেপির। জোয়েল মুর্মু জানিয়েছেন, তিনি বিধানসভায় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ছিলেন। বাকি ২ জনের অনুপস্থিতির কারণ জানা যায়নি।
বালুরঘাটের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ সাহা তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছে। এবার জল্পনা শুরু হল বাকিদের নিয়েও।