লকডাউন আর তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও বিরাম নেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে। শুক্রবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মোট ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতরা যুব তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক।
শুক্রবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি এলাকা। যুব তৃণমূলের দাবি, মাদার তৃণমূলের নেতা খাতিব সরদারের নেতৃত্বে হামলা হয়। এলাকায় মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। যুব তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে তাদের আক্রমণ করা হয়। এর পরই দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালীন গুলি চলে বলে অভিযোগ। তাতে ৫ জন যুব তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার দায় অস্বীকার করে খাতিব সরদার জানিয়েছেন, এলাকার একটি বাজারের দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাঁর পালটা দাবি, আক্রান্তদেরই ধরে ধরে কেস দিচ্ছে পুলিশ।
ঘটনার খবর পেয়ে গোলাবাড়িতে পৌঁছয় ক্যানিং থানার বাহিনী। পরে বারুইপুর জেলা পুলিশের আরও বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছি।’
ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিত্যদিনের ঘটনা। জেলাজুড়ে কার্যত তৃণমূলের সমান্তরাল ২টি সংগঠন চলে। মাঝেমাঝেই মুখোমুখি হয়ে যায় ২ পক্ষ। তার জেরেই ঝরে রক্ত। এই সমস্যার সমাধানে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব একাধিক পদক্ষেপ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।